Saturday 9 May 2015

ইশক-এ-ইলাহী

হযরত ঈসা (আঃ) একদা এক যুবকের পাশ দিয়ে পথ অতিক্রম করছিলেন। যুবকটি বাগানে পানি সিঞ্চন করছিল। হযরত ঈসা (আঃ) কে দেখে যুবক বলল,  হে আল্লাহর নবী! আপনি আমার জন্য দোআ করুন, যেন আল্লাহ তাআলা আমাকে তাঁর ভালবাসার অণু পরিমাণ অংশ দান করেন।

হযরত ঈসা (আঃ) বললেন, তুমি তা সইতে পারবে না।

যুবক বলল, তাহলে অর্ধানু পরিমাণের জন্য দোআ করুন।

হযরত ঈসা (আঃ) দোআ করলেন, হে মহান প্রভু! এ যুবককে আপনার মহব্বতের অর্ধানু পরিমাণ দান করুন।

দোআর পর হযরত ঈসা (আঃ) আপন পথে চলে গেলেন।

বহুকাল পর তিনি সেই যুবকের বাড়ির পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। লোকজন বলল, বহুদিন যাবত যুবকটি পাগল অবস্থায় ছিল এবং বর্তমানে পাহাড়ের চূড়ায় চূড়ায় ঘুরে বেড়ায়। এ সংবাদ পেয়ে হযরত ঈসা (আঃ) দোআ করলেন, হে আল্লাহ! সেই নওজোয়ানের সাথে আমাকে দেখা করিয়ে দিন।

দোয়ার পর হযরত ঈসা (আঃ) দেখলেন, সে যুবক পর্বতমালার মাঝখানে একটি উঁচু শৃঙ্গে আকাশপানে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।



হযরত ঈসা (আঃ) তাকে সালাম দিলেন, কিন্তু সে কোন উত্তর দিল না।

পুনরায় হযরত ঈসা (আঃ) নিজের পরিচয় প্রদান করে বললেন, আমি ঈসা।

এ সময় আল্লাহর তরফ থেকে হযরত ঈসা (আঃ) এর প্রতি ওহী নাযিল হলঃ
"হে ঈসা! যার হৃদয়ে আমার ভালবাসা অর্ধানু পরিমাণও প্রবেশ করেছে, সে কখনও মানুষের আওয়াজ শুনতে পায়না। শুনে রাখ, আমার মহত্ত্ব ও পরাক্রমশীলতার কসম, তুমি এখন তাকে করাত দিয়ে চৌচির করে দিলেও সে বিন্দুমাত্র অনুভব করবে না।"
 


[সুত্রঃ মরণের আগে পরে - ইমাম গাজ্জালী (রঃ)]



Tuesday 2 September 2014

বিজ্ঞানের আলোকে সালাত

বিজ্ঞানের আলোকে সালাত
- প্রফেসর ড. মোহা: একরামুল হক

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত বা নামাজ কায়েম করা সারা মুসলিম উম্মাহর ওপর ফরজ করেছেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। ঈমানের পরেই সালাতের স্থান, যা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার ওপরই ফরজ। বলা হয়েছে ‘আস্সালাতু ইমাদ উদ্-দ্বীন’। সালাত হচ্ছে দ্বীনের বা ধর্মের খুঁটি।

 

বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সালাতের ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণে যাওয়ার আগে, নামাজের আগে কেন অজু করার বিধান দেয়া হলো সে ব্যাপারে আলোচনা করা প্রয়োজন। বহু মাওলানাকে আমি প্রশ্ন করেছি, নামাজ আদায়ের আগে অজু কেন করতে হবে? এক বাক্যে সবাই বলেছেন, দেহ ও মনের পবিত্রতা অর্জনের জন্য। কিন্তু ব্যাপারটার সাথে আমি কোনো অবস্থাতেই একমত হতে পারিনি। কারণ, এখানে প্রশ্ন, নামাজ পড়েন কারা? উত্তর মুসলমানেরা। কিন্তু যারা মুসলমান তারা কি অপবিত্র থাকেন? আমি বাহ্যিক পবিত্রতার কথা বলছি। যদি অপবিত্র না থাকেন তবে পবিত্রতার প্রশ্ন আসে কেন? ব্যাপারটা কি শুধুই পবিত্রতা অর্জনের জন্য অজু করা, নাকি অন্য কিছু!! ইসলাম তথা ইসলামের আরকান ও আহকামের ব্যাপারে আমরা গতানুগতিক পন্থা অবলম্বন করে চলেছি; কিন্তু ব্যাপারটা আদৌ ঠিক হচ্ছে কি না, তা ভেবে দেখার প্রয়োজন বোধ করি না। 

পবিত্র কালামে পাকে সূরা ইয়াসিনের প্রথম আয়াতেই আল্লাহ ঘোষণা করেছেন ‘মহাবিজ্ঞানময় কুরআন’। পবিত্র কুরআন শরিফই হলো বিজ্ঞানের উৎস। অর্থাৎ অদ্যাবধি বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার মূল ভিত্তিই হলো কুরআন। তাই পবিত্র কুরআনের ব্যাখ্যাও বিজ্ঞানভিত্তিক হওয়া বাঞ্ছনীয়। 

হাদিস শরিফে নবী করিম সা: বলেছেন, ‘আসসালাতু মেরাজুল মুমিনিন’। অর্থাৎ সালাত হচ্ছে মুমিনদের জন্য আল্লাহর সাথে সাাৎ বা দিদারে ইলাহির মাধ্যম। কিন্তু সালাতের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে কারো সাাৎ হয়েছে কি না, তা কি কেউ হলফ করে বলতে পারবেন আজকের মুসল্লিরা? হাজারে হয়তো দু-একজন বলতে পারেন। তাহলে কী দাঁড়াল? আমাদের নামাজ যথাযথভাবে হচ্ছে না। অর্থাৎ আমরা মুমিনদের সংজ্ঞার ভেতর পড়ছি না। কারণ আমরা যদি আমাদের প্রকৃত মুমিন বলে দাবি করি, তবে নিশ্চয় নামাজে আল্লাহর সাথে আমাদের সাাৎ হতে হবে। 

বিভিন্ন শাখায় বিজ্ঞানের অনেক অগ্রগতি সাধিত হলেও, মানুষের মন, মনের সাথে দেহের সম্পর্ক, আমরা নিজে চলছি না কারো দ্বারা চালিত হচ্ছি অথবা আমাদের চলাচল কি কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে, নাকি আমরা নিজেরাই নিজেদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছি ইত্যাদির ব্যাপারে বিজ্ঞানের খুব একটা অগ্রগতি পরিলতি হয় না। তবে ইদানীং মন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে যে মানসিক টেনশন কমানো যায় এবং দেহ ও মন সুস্থ রাখা যায়, তার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় Silva Method কিংবা Quantum Method-এর সাহায্যে মন নিয়ন্ত্রণ করে। 

এ পর্যন্ত নামাজের আগে অজু করার বিধানের ব্যাপারে যতটুকু জানতে পেরেছি তার বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যা কিন্তু শুধু পবিত্রতা অর্জনই নয় আরো অন্য কিছু। নামাজ বা সালাতের মাধ্যমেই মুমিনদের সাাৎ হয় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাথে। কাজেই নামাজের আগে অজু করার বিধান দেয়ার কারণ নিশ্চয় নামাজের সাথে এর যোগসূত্র অবশ্যই আছে। এই যোগসূত্রের কারণ জানার জন্য অজু কেন করি সে প্রশ্নের উত্তরে যাওয়ার আগে মানুষের মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে, (যা নির্ভর করে brain frequency level  এর ওপর) সে ব্যাপারে আলোকপাত করা প্রয়োজন। কারণ অজুর সাথে মানুষের মনের সম্পর্ক আছে। আর মন নিয়ন্ত্রণ হয় brain frequency-এর কমবেশির ওপর। 

মানুষের মস্তিষ্কে bio electricity তৈরি হয় (তা দিয়ে ২০ watt-এর বাল্ব জ্বালানো সম্ভব) এবং সেই শক্তিই মানুষকে চালিত করে। (Miracle of electricity in the body, by Harun Yahya, An internet publication) কিন্তু সব সময় electricity-এর frequency বা পরিমাণ একই ষবাবষ-এ থাকে না, অর্থাৎ মানুষের মস্তিষ্কে bio-electricity তৈরির পরিমাণ কম বেশি হয়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, মানুষ যখন কাজে ব্যস্ত থাকে তখন bio-electricity উৎপাদন এক রকম থাকে, উত্তেজিত হলে তা বেড়ে যায় এবং মন প্রশান্ত হলে brain frequency কমে যায়। আবার ঘুমালে brain frequency আরো নিচে নেমে যায়। এ পর্যন্ত জানা যায়, যে বিজ্ঞানীরা মানুষের brain frequency কে চারটি level -এ ভাগ করেছেন (The Silva Mind control Method for getting help from the other side, Jose Silva et.al P44, 1987. Pocket Book Publication New York)। সে level গুলো সম্পর্কে আমাদের জানা দরকার। 

১. বিটা লেভেল (â level) : এই level-এর frequency 14 থেকে 20 cycles/sec, (কেউ কেউ 25cycles/sec ধরেন, cycles/sec  হচ্ছে electricity-এর unit)। এটা আমাদের পার্থিব জগতে কাজকর্মে ব্যস্ত থাকার সময় প্রয়োজনীয় frequency level । এই level-এ আমরা স্পর্শ, স্বাদ, গন্ধ, শব্দ শোনা ও দেখার কাজ করি। একে outer conscious level বলে। 

২. আলফা লেভেল (á level) : এটা বিশেষ প্রয়োজনীয় level। এটাকেই আমরা আধ্যাত্মিক level বলে থাকি, এখানে সময়ের মান শূন্য। এটাকে বলা হয় Inner conscious level । আমরা সবসময় এ level থাকতে পারি না সাংসারিক ব্যস্ততা ও মানসিক উত্তেজনার কারণে। এর বিস্তৃতি হলো ৭ থেকে 14 cycles/sec । আরো একটা জিনিস আমাদের মনে রাখা দরকার তা হলো আমাদের চিন্তাশক্তি। কখন আমরা চিন্তা করতে পারি? যখন আমাদের মন শান্ত থাকে। বেশি উত্তেজিত হলে কিংবা ঘুমিয়ে গেলে আমরা কোনো চিন্তা করতে পারি না। আমাদের এই চিন্তা করার শক্তিটাও কিন্তু আমাদের brain frequency -ও ওপর নির্ভরশীল। চিন্তার এই level কে আমরা বলি Thought level । পরীক্ষা করে দেখা গেছে এই Thought level-এর বিস্তৃতি ৭ থেকে 20cycles/sec অর্থাৎ Thought level আলফা level -এর নিচ থেকে বিটা level -এর ওপর পর্যন্ত বিস্তৃত। বিটা level -এর ওপরে কিংবা আলফা level -এর নিচে Thought level যেতে পারে না। সে কারণে মানুষ ঘুমালে চিন্তা করতে পারে না। তেমনি মানুষ উত্তেজিত হলেও চিন্তা করতে পারে না। কারণ উত্তেজিত অবস্থায় brain frequency বাড়তে থাকে কিন্তু Thought level আর বাড়ে না। উত্তেজনাবশত মানুষ কাউকে হত্যা পর্যন্ত করতে পারে। Brain frequency down হয়ে বিটা লেভেলে এলে বা উত্তেজনা প্রশমিত হলে কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা করে। কারণ সে তখন Thought level এ প্রবেশ করে এবং চিন্তা করে কাজটা ভালো করেনি। হঠাৎ কেউ বেশি উত্তেজিত হলে brain frequency বেড়ে যায় এবং অতিরিক্ত bio-electricity তৈরির ফলে আমাদের দেহের যন্ত্রগুলো তা সহ্য করতে পারে না। ফলে ছিন্নভিন্ন হয়ে বন্ধ বা ফিউজ হয়ে যায়। তা আর চালু করা সম্ভব হয় না। 

আরো দুটো level আছে। তা হলো ৩. বিটা- level: যার frequency 4 থেকে 7cycle/sec এ সময় মানুষ গভীর ঘুমে অচেতন থাকে। ৪. ডেল্টা- level: কোনো কারণে যেমন অসুস্থতা কিংবা আঘাতজনিত কারণে মানুষের Brain frequency যদি 4cycle/sec এর নিচে নেমে যায় তবে সমূহ বিপদ। Brain frequency 4 থেকে 0 cycles/sec ই হচ্ছে ডেল্টা লেভেল এর পরিধি। এই level টাই হচ্ছে unconscious level । এই লেভেলে মানুষের জৈব-বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হওয়ায় মানুষের প্রাণশক্তি নিঃশেষ হয়ে যায়, যাকে আমরা ‘কমা’ বলি।

যাক আমরা আলফা level -এর কথায় ফিরে আসি। আলফা level -ই হচ্ছে মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা level । আমাদের brain -এ আলফা level -এর মাধ্যমেই বেশ কিছু information আদান প্রদান হয় যা আমরা বুঝতে না পারলেও অনুভব করতে পারি। আমাদের সৃষ্টিকর্তার সাথেও যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হলো আলফা level । মুনি-ঋষি ও সাধকগণ সবসময় আলফা level -এ অবস্থান করেন। পার্থিব কোনো ব্যাপারে তারা কখনো উত্তেজিত হন না। আর আমরা সাধারণ মানুষ থাকি সব সময় বিটা level -এ। তবে দু’সময় আমরা আলফা level অতিক্রম করে থাকি। তা হলো, ঘুমাতে যাওয়ার সময় এবং ঘুম থেকে উঠার সময়। সাংসারিক চাপ, অফিসের বিড়ম্বনা এবং পার্থিব জীবনের নানা ঝামেলায় সাধারণ মানুষ থাকে বিটা level -এ। তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়ালো? সাধারণ মানুষকে বিটা- level থেকে আলফা-ষবাবষ এ যেতে হলে কিছু বাড়তি পদ্ধতি অনুসরণ করে যেতে হবে। অনেক পদ্ধতির মধ্যে একটা পদ্ধতি হলো মন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। একইভাবে আমাদের সৃষ্টিকর্তার সাথে সাাৎ করতে গেলেও আমাদের মনকে নিয়ন্ত্রণ করে brain frequency কে down করতে হবে, অর্থাৎ বিটা level (20-14 cycles/sec †_‡K 14-7cycles/sec) এ নিয়ে যেতে হবে। 

মনকে নিয়ন্ত্রণ করে আলফা লেভেলে নিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। সে রকমই একটা পদ্ধতির প্রথম ধাপ হলো নামাজের আগে অজু করা। নিয়ম হলো প্রথমে অজুর নিয়ত করা, অর্থাৎ আল্লাহর সাথে সাাতের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য পার্থিব সব কিছুকে দূরে ঠেলে মনকে আল্লাহর দিকে রুজু করা বা ফেরানো। তারপর ধীরে সুস্থে সময় নিয়ে অজু করা। কোনো প্রকার তাড়াহুড়ো brain frequency কে আবারো ওপরের দিকে নিয়ে যাবে। প্রত্যেক অঙ্গ ধোয়ার সময় আলাদা দোয়া আছে। উদ্দেশ্য, মনকে আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের দিকে ধাবিত করানো। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, হাত ধৌত করার সময় মনে মনে বলতে হবে, হে আল্লাহ তুমি পবিত্র সত্ত্বা, আমি আমার হাত দিয়ে যত গুনাহ করেছি তা অজুর পানির সাথে ধুয়ে পরিষ্কার করে দাও, যাতে আমি আমার পবিত্র হাত নিয়ে তোমার সাথে সাাৎ করতে পারি। এভাবে প্রত্যেক অঙ্গ ধোওয়ার সময় একইভাবে নিয়ত করা জরুরি। লণীয় বিষয় এই যে, যে অঙ্গগুলো দ্বারা গুনাহর কাজ সঙ্ঘটিত হয় বা হতে পারে সেই অঙ্গগুলোকেই ধৌত করতে বলা হয়। অজুর সময় ঘাড় মাসেহ করার কারণ হলো, ঘাড়ের মধ্য দিয়ে সব স্নায়ু মাথা থেকে সারা শরীরে ছড়িয়ে গেছে। তাই ঘাড়ে পানি লাগালে স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমিত হয়, যা মানুষকে আলফা level -এ নিয়ে যাওয়ার পথকে ত্বরান্বিত করে। তা ছাড়া আমাদের সব দেহের স্নায়ুতন্ত্রের প্রান্তগুলো দুই হাত এবং পায়ের তালু ও আঙুলের অগ্রভাগের বিভিন্ন বিন্দুতে অবস্থান করায় হাত পা পানি দ্বারা ধৌত করলে ধীরে ধীরে উত্তেজনা প্রশমিত হতে থাকে। আমার মনে হয় অজু এমন একটা মাধ্যম যার সাহায্যে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাথে সাাতের জন্য মানুষকে তৈরি করা হয়। সুবহান আল্লাহ! কিন্তু সাধারণ মানুষ শুধু অজু করেই আলফা level এ যেতে পারে না, একাগ্রতার অভাবে। তাই নামাজের মধ্যেও কতগুলো পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলা হয়, যা brain frequency কে নিচের দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। যেমন কিবলামুখী হয়ে দাঁড়ানো। শুধু মুখমণ্ডলকে কিবলামুখী করলেই চলবে না, সব অঙ্গপ্রতঙ্গকে কিবলামুখী করতে বলা হয়েছে। (you have to concentrate your mind to a certain direction)। যা আপনার brain frequency down করার সহায়ক। আরো আছে, তাকবিরে তাহরিমা বাঁধার পর সেজদার স্থানের প্রতি নজর করতে বলা হয়েছে। কারণ কী? কারণ একই (you have to concentrate your mind to a certain point) ফলে brain frequency down আরো নিচে নামবে। নামাজের মধ্যে অনেক point আছে, যা brain frequency down করার সহায়ক। যেমন বলা হয়েছে রাব্বুল আলামিনের কুদরতি পায়ে সিজদা করতে হবে। মনে করতে হবে তুমি তাকে দেখছ। সেটা সম্ভব না হলে মনে করতে হবে আল্লাহ তোমাকে দেখছেন। আরো বলা হয়েছে নামাজে এমনভাবে দাঁড়াবে যেন তুমি পুলসিরাতের ওপর দাঁড়িয়ে আছো। তোমার ডানে বেহেস্ত ও বামে দোজখ। হিসাব করে দেখা গেছে সম্পূর্ণ নামাজটাই হচ্ছে মানুষের মনকে আলফা লেভেল-এ নিয়ে যাওয়ার একটা বিশেষ পদ্ধতি।

Brain frequency কে down করে আলফা level -এ নিয়ে যেতে না পারলে নামাজে মানুষের মেরাজ হবে না। ব্যাপারটা না জানার কারণে অধিকাংশ মানুষের নামাজে মেরাজ হচ্ছে না। যদি ব্যাপারগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা ইমামদের কাছ থেকে শুনত, তবে সাধারণ মানুষ আল্লাহর সাথে সাাৎ করার চেষ্টা করতে পারত। কাজেই আমাদের শিায় গলদ আছে। মুমিন হতে গেলে মানুষকে অবশ্যই শিতি ও জ্ঞানী হতে হবে। কারণ নবী করিম সা: বলেছেন, ‘আল ইলমু ফারিজাতুন আলাকুল্লে মুসলিমিন ওয়া মুসলিমাতিন।’ যার অর্থ হলো প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। এখানে সামগ্রিক জ্ঞানের কথাই বলা হয়েছে। জ্ঞানী হলে মানুষের কোনো কিছু বুঝার দতা বৃদ্ধি পায়। কালামে পাক বুঝার জন্য মানুষকে প্রথমে জ্ঞান অর্জন করতেই হবে। মাতৃভাষার জ্ঞান না থাকলে অন্য ভাষায় জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব নয়। মুসলমানদের জন্য জ্ঞান অর্জন করাই প্রথম কাজ। পরবর্তী কাজ হলো ভাষাগত জ্ঞান অর্জন করা। 

অনেক মাওলানাকে প্রশ্ন করা হয়েছে, আমরা নামাজ পড়ি কেন? বেশির ভাগই বলেছেন, আল্লাহর হুকুম, নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করতে বলা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার অযুত কোটি ফেরেশতা রাতদিন আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি করছে, তারপরও মানুষ সৃষ্টি করার প্রয়োজন পড়ল কি শুধু ইবাদত করার জন্য? নিশ্চয়ই না! 

অজু ও নামাজ সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সুধী পাঠক হয়তো কিছুটা হলেও হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেছেন। এখানে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমরাও তো নিয়ম অনুযায়ী অজু করি ও নামাজ আদায় করি; কিন্তু আল্লাহর সাথে সাাৎ হয় না কেন? এর ব্যাখ্যা সম্ভবত আমাদের পাপকাজের ফলে আমরা প্রায়ই উত্তেজিত থাকি। মন ছটফট করে, হয়তো অজু সঠিকভাবে করতে পারি না, হয়তো নামাজ সঠিকভাবে আদায় করতে পারি না। নিয়ম অনুযায়ী দাঁড়ানো, রুকু ও সিজদা করার মধ্যে কোনো আন্তরিকতা থাকে না। কারণ আমরা বুঝি না আমরা কী করছি। তবে আমরা আলফা level -এ যেতে না পারলেও পদ্ধতিগত কারণে আমাদের brain frequency কিছুটা down হয় এবং বিটা level -এর নিচের দিকে অবস্থান করায় মাথার জঞ্জাল কিছুটা পরিষ্কার হয়ে যায়। ফলে অনেক ভুলে যাওয়া কথা মনে পড়ে, যেমন চাবিটা কোথায় রেখেছি তা মনে পড়ে, খুঁজে না পাওয়া মানিব্যাগটা কোথায় রেখেছি তা খুঁজে পাওয়া যায় ইত্যাদি। 

আর একটু চেষ্টা করলেই কিন্তু আমরা আলফা level এ প্রবেশ করতে পারব এবং আল্লাহ তায়ালার সাথে দিদার লাভ করা সম্ভব হবে। যারা রাতের অন্ধকারে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়েন তারা বেশির ভাগই নামাজরত অবস্থায় আলফা level -এ ঢুকে পড়েন। আপনি কিভাবে বুঝবেন আলফা level কোনটি? একটু মনোযোগ দিলেই বোঝা যায়। যেমন নামাজরত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছি না বসে আছি, অন্ধকারে আছি নাকি আলোতে আছি কিছুই খেয়াল থাকে না। নিজের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়। মন এক অজানা প্রশান্তিতে ভরে ওঠে। কতণ নামাজরত অবস্থায় আছি তার খেয়াল থাকে না। এটাই আলফা level বা মারেফাতের জগত। নামাজে দাঁড়িয়ে মারেফাত হাসিল করতে পারলেই প্রকৃত আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্য লাভ করা সম্ভব হবে। এ জগতে সময়ের মান শূন্য। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ একই বিন্দুতে আবদ্ধ। 

আন্তরিকভাবে, মনপ্রাণে সঁপে দিয়ে ইবাদত করলেই সালাতে আলফা level -এ যাওয়া সম্ভব এবং মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাথেও সাাৎ করাও সম্ভব হবে। 
লেখকঃ প্রতিষ্ঠাতা প্রধান, ফার্মেসি বিভাগ, রাবি


Thursday 5 June 2014

ইমাম গাজ্জালী (র.) - এর একটি গল্প

এক ব্যাক্তি জঙ্গলে হাটছিলেন, হঠাৎ দেখলেন এক সিংহ তার পিছু নিয়েছে, তিনি প্রাণভয়ে দৌড়াতে লাগলেন, কিছুদূর গিয়ে একটি পানিহীন কুয়া দেখতে পেলেন, তিনি চোখ বন্ধ করে দিলেন ঝাঁপ, পড়তে পড়তে তিনি একটি ঝুলন্ত দড়ি দেখে তা খপ করে ধরে ফেললেন, এবং ঐ অবস্থায় ঝুলে রইলেন, উপরে চেয়ে দেখলেন কুয়ার মুখে সিংহটি তাকে খাওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে, নিচে চেয়ে দেখলেন বিশাল এক সাপ তার নিচে নামার অপেক্ষায় চেয়ে আছে, বিপদের উপর আরো বিপদ হিসেবে দেখতে পেলেন একটি সাদা আর একটি কালো ইঁদুর তার দড়িটি কামড়ে ছিড়ে ফেলতে চাইছে, এমন হিমশিম অবস্থায় কি করবেন যখন তিনি বুঝতে পারছিলেন না, তখন হঠাৎ তার সামনে কুয়ার সাথে লাগোয়া গাছে একটা মৌচাক দেখতে পেলেন, তিনি কি মনে করে সেই মৌচাকের মধুতে আঙ্গুল ডুবিয়ে তা চেটে দেখলেন, সেই মধুর মিষ্টতা এতই বেশি ছিল যে তিনি কিছু মুহূর্তের জন্য উপরের গর্জনরত সিংহ, নিচের হাঁ করে থাকা সাপ, আর দড়ি কাঁটা ইঁদুরদের কথা ভুলে গেলেন, ফলে তার বিপদ অবিশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ালো, এই সিংহটি হচ্ছে আমাদের মৃত্যু, যে সর্বক্ষণ আমাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে, সেই সাপটি হচ্ছে কবর, যা আমাদের অপেক্ষায় আছে, দড়িটি হচ্ছে আমাদের জীবন, যাকে আশ্রয় করেই বেঁচে থাকা, সাদা ইঁদুর হল দিন, আর কালো ইঁদুর হল রাত, যারা প্রতিনিয়ত ধীরে ধীরে আমাদে জীবনের আয়ু কমিয়ে দিয়ে আমাদের মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে, আর সেই মৌচাক হল দুনিয়া, যার সামান্য মিষ্টতা পরখ করে দেখতে গেলেও আমাদের এই চতুর্মুখি ভয়ানক বিপদের কথা ভুলে যাওয়াটা স্বাভাবিক।
(সংগৃহীত)
এই গল্পটি আমাদের জন্য একটি শিক্ষা। ধন্যবাদ সবাইকে।




Tuesday 3 June 2014

নামাজের তাসবিহ ও দোআ সমুহের বাংলা অর্থ

আমরা প্রতিদিন নামাজ পড়ি, কিন্তু নামাজে কি বলছি, কি করছি তা কিছুই জানি না। অধিকাংশ মানুষই নামাজে যে সুরা সমুহ ও তাসবিহ গুলো পড়ছে তার অর্থ জানেনা। যার কারনে নামাজে অমনযোগী হয়। মনে হয় যে তোতা পাখির মত শুধু বলেই যাচ্ছি, কিন্তু কি বলছি কিছুই জানি না, তাহলে নামাজের মাঝে আল্লাহর প্রতি বিনয়, শ্রদ্ধা, ভয়, আত্ম-সমর্পন আসবে কিভাবে?

অথচ আল্লাহ সুবহানাতাআলা বলেছেন, ধবংস ওই নামাজি যে তার নামাজ সম্পর্কে বেখবর।

নামাজে মনোযোগ আনতে হলে অবশ্যই নামাজে কি কি করছি তার অর্থ ভাল ভাবে জানতে হবে, বুঝতে হবে। অর্থ যদি জানা থাকে এবং তা লক্ষ্য করে নামায আদায় করি, তাহলে আমাদের নামায আরো সুন্দর হবে।

নিয়তঃ
আমি কিবলামুখি হয়ে (ফজর/যোহর/আসরের………) দুই/তিন/চার রাকাত ফরয/ওয়াজিব/সুন্নত/নফল আদায়ের উদ্দেশ্য নিয়ত করলাম

তারপর আল্লাহু আকবার (আল্লাহ মহান) বলে দুহাত বাধতে হবে। - শুরু হয়ে গেল নামাজ।

ছানাঃ
সুবহানাকা আল্লাহুম্মা বিহামদিকা (সমস্ত প্রশংসা পবিত্র আল্লাহ
র জন্য)
ওয়াতাবারা কাসমুকা (তোমার নাম বরকতময়)
ওয়াতা আলা জাদ্দুকা (তুমি মহান মর্যাদার অধিকারি)
ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা (তুমি ব্যতিত অন্য কোন উপাস্য নেই)।

তাআউযঃ
আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম
(আল্লাহর কাছে পানাহ চাচ্ছি বিতারিত শয়তান থেকে)

তাসমিয়াঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
(পরম করুনাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি)

তারপর সুরা ফাতিহা এবং অন্য সুরা মিলিয়ে পরতে হবে। আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যেতে হবে

রুকু
র তাসবিহঃ
সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম (আমার মহান মর্যাদাশীল প্রভুর পবিত্রতা বর্ননা করছি) / ( আমার মহান প্রভু সকল দোষ ত্রুটি থেকে পবিত্র।)

রুকু থেকে দাঁড়িয়ে তাসমি পাঠ করতে হবে

তাসমিঃ
সামি আল্লাহুলিমান হামিদাহ (যে আল্লাহর প্রশংসা করে তিনি তা শোনেন)

তারপর তাহমিদঃ
রাব্বানা লাকাল হামদ (সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য)

তারপর সিজদা। সিজদার সময় পরিপুর্ন ভাবে খেয়াল রাখতে হবে যে, আমি আল্লাহর কাছে পুর্নভাবে আত্মসমর্পন করছি।

সিজদার তাসবিহঃ
সুবহানা রাব্বিয়াল আলা (আমার শ্রেষ্ঠ প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ননা করছি)

দুই সিজদার মধ্যবর্তী দুআঃ
আল্লাহু ম্মাগ ফিরলী ওয়ার হামনি ওয়ার যুক্কনী
অর্থ: আয় আল্লাহ ! আমাকে মাফ করে দাও, আমার প্রতি দয়া করো, আমাকে সঠিক পথে চালাও, আমাকে সুস্থ রাখো এবং আমাকে জীবিকা দান করো।

এভাবে নামাজের দুরাকাত শেষে তাশাহুদ এবং চার রাকাত শেষে তাশাহুদের সাথে দুরুদ শরিফ ও দুয়া মাছুরা পরতে হয়।

তাশাহুদঃ
আত্ত্যাহ্যিয়াতু লিল্লাহি ওয়াস সালাওয়াতু ওয়াত্তায়্যিবাতু
(কি মৌখিক, কি দৈহিক, কি আর্থিক সকল ইবাদাত এক মাত্র আল্লাহর জন্য/সমস্ত সম্মানজনক সম্বোধন আল্লাহর জন্যে। সমস্ত শান্তি কল্যাণ ও পবিত্রার মালিক আল্লাহ) আসসালামু আলাইয়কা আইয়্যহান্নবিও ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু (হে নবী, আপনার উপর আল্লাহর শান্তি, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক) আসসালামু আলায়না ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস সোয়ালেহিন (আমাদের উপর এবং সৎকর্মশীল বান্দাদের উপর আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক) আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসুলুহু (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ব্যতিত অন্য কোন ইলাহ নেই,আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মাদ(সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল)

দুরুদ শরীফঃ
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়ালা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহিমা ওয়ালা আলি ইব্রাহিম, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ। (হে আল্লাহ মুহাম্মাদ(সাঃ) ও তার বংশধরদের / অনুসারীদের উপর তোমার অনুগ্রহ বর্ষন কর যেভাবে ইব্রাহিম (আঃ) ও তার বংশধরদের উপর অনুগ্রহ করেছিলে।নিশ্চয় তুমি অতি প্রশংসিত ও মহিমান্বিত)

আল্লাহুম্মা বারিক্ আলা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন, কামা বা-রাকতা আলা ইব্রহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রহীমা ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ। (হে আল্লাহ মুহাম্মাদ(সাঃ) ও তার বংশধরদের/মুহাম্মদের অনুসারীদের উপর তোমার বরকত বর্ষন কর যেভাবে ইব্রাহিম (আঃ) ও তার বংশধরদের উপর বরকত বর্ষন করেছিলে। নিশ্চয় তুমি অতি প্রশংসিত ও মহিমান্বিত)

আল্লাহুম্মা ইন্নি যালামতু নাফসি জুল মান কাসিরাও, ওয়ালা ইয়াগ ফিরুজ্জনুবাকা, ইল্লা আন্তা ফাগফিরালি মাগফিরাতাম্মিন ইন্দিকা ওয়ারহামনি, ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহিম। (হে আল্লাহ, আমি আমার আত্মার উপর ক্ষতি সাধন করেছি, মাফ করার সাধ্য কারোর নাই (তুমি ব্যতিত), তুমি আমাকে সম্পুর্নরুপে মাফ করে দাও ও দয়া করো, নিশ্চয়ই তুমি পরম ক্ষমাশীল ও দয়ালু)

দুআ কনূত
অর্থ: হে আল্লাহ,তুমি যাদেরকে সঠিক পথ দেখিয়েছো,আমাকে সঠিক পথ দেখিয়ে তাদের অন্তর্ভুক্ত করো ! যাদেরকে তুমি ক্ষমা ও সুস্থতা দান করেছো,আমাকেও ক্ষমা এবং সুস্থতা দান করে তাদের অন্তর্ভুক্ত করো। তুমি যাদের অভিভাবক হয়েছো, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করো! তুমি আমাকে যা কিছু প্রদান করেছো, তাতে বরকত (প্রচুর্য )দান করো। তোমার মন্দ ফারসালা থেকে আমাকে রক্ষা করো। তুমিই তো প্রকৃত ফায়সালাকারী, আর তোমার উপর কারো ফায়সালাই চলেনা। তুমি যার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছো, তাকে কেউ অপদস্ত করতে পারেনা। যে তোমার শত্রু হয়েছে তাকে ইয্‌যত দান করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। আমাদের প্রভু, বিরাট প্রাচুর্যশীল তুমি, অতিশয় মহান তুমি!

কোন ভুল-ভ্রান্তি হলে আল্লাহ আমায় ক্ষমা করুন। আল্লাহ আমাদের খাটি ভাবে আত্ম-সমর্পন করে নামাজ পড়ার তওফিক দিন আমিন।

Monday 17 March 2014

Benefits of Beard

Religious Benefits
Sunnah
The beard is the Sunnah of all the Prophets (Upon Them All Be Peace) and also the Sunnah of the Messenger of Allah (PBUH). The Messenger of Allah (PBUH) has emphasized on the lengthening of the beard so much, to the extent it is necessary (wajib) to keep a beard.
Rasulullah (Sallallahu Alayhi Wasallam) said, “I have no connection with one who shaves, shouts and tears his clothing e.g., in grief or affliction."
- Narrated by Abu Darda (R.A.) in Muslim, Hadith no. 501
Beautiful Sign of Muslim
Imam Ghazali (may Allah's mercy be upon him) states, “The Messenger of Allah (PBUH) said, 'Without doubt, there are some angels who say, 'Pure is He who gave men beauty with beards and hair for women.’”

The beard is a sign for the love of the Prophet (PBUH). Shaving is taking the beauty Allah (The Exalted) gave to man and falling in the trap of Shaytan.

Psychological Benefits
Attractive Masculinity
The more facial hair a man has, the more masculine both men and women perceive him to be, according to research published in Evolution and Human Behavior. If pure, unadulterated masculinity is what you're going for, let your beard hang low. If you're looking to impress the opposite sex, skip the razor for 10 glorious days in a row; the study found that's the length women find the most attractive.
Researchers at Northumbria University asked 70 women to rate men's attractiveness based on a series of photographs, and found that stubble was perceived as more sexually attractive than a clean-shaven look. What's more, the same Northumbria study found that men perceive guys who sport beards as more intimidating, more assertive, and more powerful.
Identity for a Man with respect to Woman
Beard increases "sexual magnetism" and attractiveness and makes men more appealing to women. The presence of a beard makes a man appear more masculine to women, and she feels more feminine towards him.

This research carried out by Doctor Freedman in the field of social psychology shows that the presence of a beard on man's face makes him more sexually attractive to women.


Man’s Personality
Beards add a whole new aspect to a guy's personality. Without doubt, beards can make a guy look mean and strong. The raw appeal of facial hair makes a guy look tougher than he really is. Several researches conducted on this regard.
In a 1973 issue of psychology, Robert J. Pelligrini, a psychologist from California State University published the results of an experiment on the perception as a function of different state of beardedness or beardlessness. To carry out the experiment, Pelligrini hired eight full-bearded young men from the ages of 22-25 years, who were willing to have their beards completely shaved off. All men were professionally photographed in each of the following states:
·        Full beard
·         Goateed
·         Mustached
·         Clean shaven
Upon completion of the photographic sessions, there were a total of thirty two photographs i.e. four photos of each of the eight men. In the experiment, those photos were randomly distributed to subjects who were asked to rate their first impression based on a number of personality traits. The subjects who evaluated the photos compromised 64 male and 64 female psychology students. Hence, each photo was judged by two males and two females.

The result of this study by Pelligrini indicated a generally positive correlation between the amount of hair on the person's face and his being perceived as masculine, good looking, dominant, mature, courageous, liberal, non-confirming, older healthy and attractive.


Symbol of Wisdom
Research says the longer and thicker the beard the wiser the person is supposed to be.


Beards Signify Freedom
Having a beard is often seen as a sign of freedom. For example: Che Guavara.


Scientific Benefits
Prevents Skin Cancer
A study from the University of Southern Queensland, published in Radiation Protection Dosimetry journal, found that beards block 90 to 95 percent of UV rays, thereby slowing the aging process and reducing the risk of skin cancer.

Protection against Sun
Generally hair offers good protection against the sun, says Dr. Nick Lowe, a leading London-based dermatologist. "It’s similar to an SPF,” he adds, “The higher the hair density and thickness, the higher the SPF.

Note: SPF = Sun Protection Factor.


Reduction of Asthma and Allergy Symptoms
For men whose allergies or asthma are set off by pollen or dust, facial hair near the nose may act as a filter of sorts and stop the allergens before they settle in, suggest several experts.

Reduce Infection
Beards and mustaches mean no shaving, which is the main cause of bacterial infections in the beard area, says Dr. Martin Wade, consultant dermatologist at the London Skin and Hair Clinic. Shaving leads “to razor rash, ingrown hairs and conditions such as folliculitis (infection of the hair follicles that causes spots), so men would benefit from growing a beard,” he says.


Blemish-Free Skin
When you do not have ingrowths, razor cuts and other such skin problems, you have a blemish-free skin. Keep the beard and the great skin, and forget about little nicks and cuts on your face.

Natural Moisture
The last thing about keeping beards is that you do not have to worry about dry skin. The hair keeps wind and cold air out, helping your skin battle dryness. Also the sebaceous glands help keep your skin moisturized better when you have a beard, because there is no way you are getting the moisture out of the beard.


Helps Fight Off Coughs and Throat Diseases
Thick beards that have grown under the chin and neck will raise the temperature of the neck and may help battle colds. Hair is an insulator that keeps you warm. Long, full beards that trap the cold air and raise the temperature of the neck are going to be an added bonus when you’re under the weather.

According to the researches, allowing the beard to grow prevents a person from contracting diseases of the throat and of the gums.

Economical Benefits
Save Money
Thousands of dollars one spends during a man’s lifetime on products for shaving (razors, shaving gels, after-shave lotions etc). To give up shaving, money can be saved.


Environmental Benefits
Save Water
Just saying good bye to shaving, it can be possible conserve million gallons of water.

Others Benefits
Save Time
What is the total time spent in shaving by a man in his whole lifetime? Dr. Herbert Mescon from Boston University did research to give an answer to this question. Dr. Mescon calculated that if a teenager begin shaving at the age of 15, then in his 55 or so years of shaving, he is likely to spend about 3350 hours (which are equivalent to about 139 full days) at this task in his lifetime. That is an incredible amount of time which literally goes down the drain.


>> To download full article in PDF, click on following link: